Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক 
আরটিএনএন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, দেশে কোটাবিরোধী আন্দোলন চলার সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজাসহ সুপ্রিম কোর্ট ও সারা দেশের অনেক আইনজীবীকে বিনাকারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। 

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান কারফিউ প্রত্যাহারসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আইনজীবীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে আইনজীবীদের এ রকম হয়রানি ও গ্রেফতার না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।

লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই সংঘর্ষে সারা দেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে যে বিআরটিসির ৪টি বাস আগুনে পুড়ে দেওয়ার কারণে চট্টগ্রাম নগরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি দিদারুল আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সেই শ্রমিক লীগ নেতা স্বীকার করেন, সোহেল রানার সঙ্গে বাসগুলো পুড়ে দেওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকার চুক্তি হয় তার। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংসকারীদের সত্যিকার পরিচয় উদঘাটন না করা পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আইনজীবীদের গণহারে হয়রানি ও গ্রেফতার না করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব কর্মকাণ্ড সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ, সাংবাদিকসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণ মৃত্যুবরণ করেন। এ আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। 

বার সভাপতি বলেন, অনতিবিলম্বে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আমি বাংলাদেশের সব ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াকে অনুরোধ করব, আপনারা সত্য সংবাদ তুলে ধরুন। এটা আপনাদের জাতীয় দায়িত্ব। কোনো ধরনের একপেশে সংবাদ পরিবেশন করবেন না। আমি সরকারের কাছে দেশের চলমান কারফিউ প্রত্যাহার, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াগুলো চালু করা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ ফজলে ইলাহী অভি ও ফাতেমা আক্তার।