Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
আরটিএনএন: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। এটি জারি হয়ে গেলে ইসরাইলের এই দুই নেতা যুক্তরাজ্যসহ ১২৪টি দেশ সফর করতে পারবেন না।

সোমবার আইসিসির পাবলিক প্রসিকিউটর করিম খান ঘোষণা করেন যে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আইসিসির বিচারকদের কাছে অনুরোধ জানাবেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট রোম চুক্তিতে সইকারী দেশগুলো সফর করতে পারবেন না। আর ওই সব দেশে গেলে গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।

তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আগে আইসিসির তিন প্যানেল বিচারপতির কাছ থেকে অনুমোদন লাগবে। ওই তিন বিচারপতি হচ্ছেন রোমানিয়া, বেনিন ও মেক্সিকোর।

করিম খান তিন হামাস নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অনুরোধ করেছেন। তারা হলেন গাজাভিত্তিক ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ এবং দুবাই প্রবাসী ইসমাইল হানিয়া।

জাতিসঙ্ঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সকল মানবিক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি রাশিয়া সমর্থন জানিয়েছে।

কেবলমাত্র রাফা শহরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধানগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাই এবং ওই এলাকায় কর্মরত জাতিসঙ্ঘ স্টাফ এবং মানবিক কর্মীদের ওপর ইসরাইলি হামলার নিন্দা এবং বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা সকল মানবিক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্তের মহাসচিবের আহ্বানকে সমর্থন করি।’

 ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এই ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো স্থিতিশীল চ্যানেল নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফা এবং কেরেম শালোম চেকপয়েন্ট দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা ৩ হাজার ট্রাকের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আবারো ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের সাতটি গণকবর আবিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে এমন তদন্তের দাবি করেছিল।’

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর এবং তাস