আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলছে, আফগানিস্তান থেকে সাম্প্রতিক হামলা এবং আন্তঃসীমান্ত উগ্রবাদী অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে গত মাসে প্রায় ৩০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
বুধবার তারা এ কথা বলে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘আফগানিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পর এ ঘোষণা এলো।
চলমান ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান সীমান্ত প্রদেশের কিছু অংশের ওপর নজর রাখছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে একটি অভিযানে সেনাবাহিনীর একজন মেজরও নিহত হয়েছেন।
ইসলামাবাদ আফগান অংশে ‘কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে’ কাবুলের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, ‘তালেবান সরকার তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে দেবে না বলে আশা করা হচ্ছে।’
পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে আফগানের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে তালেবান এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ বা এর বাইরে কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য তারা কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে না।
পাকিস্তান বরাবরই বলে আসছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) পলাতক কমান্ডার ও যোদ্ধারা আফগানিস্তানের অভয়ারণ্য ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনীসহ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, টিটিপি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় আছে এবং তাদের কার্যক্রমে তালেবানের কাছ থেকে কিছু বাধার মুখোমুখি হচ্ছে, যাদের সাথে তাদের মূল আদর্শে মিল আছে।
আফগানিস্তানে আল-কায়েদার কর্মীদের সাথে তালেবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসঙ্ঘের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আল-কায়েদা নেতারা এখন তালিবানের প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ এবং আফগানিস্তানে তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করছে।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Comments