Image description

নোয়াখালী প্রতিনিধি 
আরটিএনএন: প্রতিহিংসার জেরে এক আইনজীবীকে থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করার অভিযোগ এনে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন মিনারুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী। 

বুধবার বিকালে জেলা দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি করেন নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম মিনার। 

জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলাটি প্রাথমিক তদন্তের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহি। 

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান, উপপরিদর্শক অপু বড়ুয়া ও মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক আবু তালেব ও মুন্সী রুবেল বড়ুয়া এবং কনস্টেবল মো. রাসেল। 

অভিযোগপত্রে মামলার ভুক্তভোগী ওই আইনজীবী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১নং আমলি আদালতে ৭ বছর বয়সি এক শিশুকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট মিনারুল আদালতে শিশুটির জামিন আবেদন ও মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। এ সময় নাবালিকা শিশুকে আসামি করায় আদালত সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে সশরীরে হাজির করে তিরস্কার করেন। আদালতে শিশুর পক্ষে আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনার মামলা পরিচালনা করায় (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং বিপদে ফেলে অপমানের চেষ্টা করেন। 

সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় অ্যাডভোকেট মিনারুল ইসলাম মিনারের মামা আবদুল করিম মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনার তার মামাকে দেখতে থানায় গেলে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালায় পুলিশ। তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে এলে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। ঘুসের টাকা দিতে না পারায় তাকে একটি মামলায় আসামি করে আদালতে চালান করা হয়। এ ছাড়া রিমান্ড আবেদন না করার শর্তে তাদের থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে উপ-পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন। 

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনির ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান কল রিসিভ করেন। তিনি জানান, ওসি মীর জাহিদুল হক রনি তিন দিনের ছুটিতে আছেন।