সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আরটিএনএন: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার আসিফ হাসান। ক্লাস শেষ করে ১৮ জুলাই গ্রামের বাড়িতে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জীবিত নয় লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। আসিফ ওইদিন রাজধানীর উত্তরায় কোটা আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
১৯ জুলাই ভোরে জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আসিফের মা শিরিন বেগম বলেন, আমার আব্বাকে কোথায় গেলে পাব। মারা যাওয়ার আগে আমাকে একটি বার মা বলে ডাকতে পারল না। কত কষ্ট পেয়ে আমার বুকের ধন এভাবে পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিল, একটি বার আমাকে মা বলে ডাক আসিফ বাবা। আমার আব্বা ছোট থেকে শান্ত-শিষ্ট। আব্বাকে নিষেধ করলাম। বললামও আব্বা, আব্বা তুমি যেন এসব কাজে যেও না।
তিনি আরও বলেন, আমার আব্বা বৃহস্পতিবার রাতে (১৮ জুলাই) বাড়ি আসতে চেলেছিল। কিন্তু কে বা কারা তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় মিছিলে। তাকে বাড়িতে আসতে দেয়নি। তবে আব্বা ঠিকই বাড়ি ফিরলেন ঝাঁঝরা বুক নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায়। এখন আব্বা ওই গাছের ছায়ায় শুয়ে আছে।
তিন মেয়ের পর আসিফ ও রাকিব নামে যমজ দুই ছেলে সন্তান হয় শিরিন বেগমের। যমজ ভাই রাকিবকে ফেলে চলে গেলেন আসিফ। রাকিব সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্সে পড়ছেন। ছেলেকে হারিয়ে পাগলগ্রায় মা বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছিলেন, আর বিলাপ করে কাঁদছেন।
আসিফের মৃত্যুর পর থেকে এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভিড় করছেন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরোএলাকায়।
Comments