Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক  
আরটিএনএন: বর্তমানে বেশির ভাগ নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘসময় ধরে ব্যাকআপ দেয়। তবে ব্রাইট স্ক্রিন, দ্রুতগতির প্রসেসর, অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড সফটওয়্যার এবং দ্রুততর ইন্টারনেট সংযোগসহ নানা ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারিকে প্রভাবিত করে, যা ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ দ্রুত কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ব্যাটারি ভালো রাখতে জেডডিনেটে কিছু উপায় জানিয়েছেন লেখক ম্যাক্স বুওন্ডনো— 

‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’ বন্ধ করা
এ অপশন ডিভাইস লক থাকা অবস্থায়ও স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচের স্ক্রিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখার সুবিধা দেয়। এটি বন্ধ করতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘লক স্ক্রিন’-এ ট্যাপ করে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে বন্ধ করে দিতে হবে।

ফোনের ‘ডার্ক মোড’ অন করা 
ম্যাক্স বলছেন, ডার্ক মোডে কাজ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ে এবং চার্জও থাকে অনেকক্ষণ। ফোনের সেটিংস থেকে ডিসপ্লে অপশনে গিয়ে ডার্ক মোড অন করা যাবে। 

‘অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি’ চালু করা 
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি নামে একটি ফিচার আছে, যা প্রায় সব ফোনে পাওয়া যাবে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের কার্যক্ষমতা এবং কার্যকারিতা পরিচালনা করতে পারে, যা স্মার্টফোনের ব্যাটারিকে প্রভাবিত করে। ফোনের সেটিংসের অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি অপশনে গিয়ে এটি অন করা যায়। 

ডিসপ্লের ব্রাইটনেস ও স্ক্রিন টাইম সমন্বয় করা
কম্পিউটার বা ফোন যখন অলস সময় পার করে, তখন ডিসপ্লে নিজে থেকে বন্ধ হতে কিছুটা সময় নেয়। এটাই হলো স্ক্রিন টাইমআউট। ব্যাটারির সুরক্ষায় এ সময়টা কমিয়ে আনা যেতে পারে। সেটিংসের ডিসপ্লে অপশনে ঢুকে স্ক্রিন টাইমআউট এক মিনিটের নিচে অথবা সর্বনিম্নে নামিয়ে আনলে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব। এছাড়া ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়েও ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো যায়। 

নোটিফিকেশন কমিয়ে আনা
ম্যাক্স বুওন্ডনো বলছেন, নোটিফিকেশন ফোনের ব্যাটারিকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। বেশির ভাগ অ্যাপে নোটিফিকেশন সীমিত করার উপায় আছে। সেক্ষেত্রে মেসেজ কিংবা ই-মেইলের মতো প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বাদ দিয়ে বাকি অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। 

ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপস অপশনে ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নয়—এমন অ্যাপগুলো সিলেক্ট করে নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেয়া যায়। এছাড়া ব্যাটারি অপশনে গিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজেস লিমিটস’-এ অব্যবহৃত অ্যাপগুলো ডিপস্লিপিং লিস্টে যুক্ত করা যেতে পারে। এর ফলে অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে না এবং ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।

‘হেই গুগল’ ডিটেকশন বন্ধ করা
ফিচারটি শব্দ শোনার জন্য ফোনের মাইক্রোফোনকে সক্রিয় রাখতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তাই ম্যাক্স বুওন্ডনোর পরামর্শ, গুগল অ্যাসিসট্যান্ট ফিচারটি খুব বেশি কাজে না লাগলে তা বন্ধ রাখাই ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে গুগল অপশনে ঢুকে ‘হেই গুগল অ্যান্ড ভয়েস মেসেজে’-এ গিয়ে এটি বন্ধ করা যায়। 

ব্যবহৃত ওয়্যারলেস ফিচার বন্ধ করা
খুব বেশি ব্যবহার না হলে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ অথবা লোকেশন সার্ভিসের মতো ফিচারগুলো বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। এতে করেও ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব। 

এছাড়া ব্যাটারি প্রটেকশন, ব্যাটারি সেভার ফিচারের মতো ফিচারগুলো ব্যবহার করেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি সুরক্ষিত রাখা যায়।