নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন: এখন গরমের সিজন। আম, জাম ও কাঠাল পাকার প্রচণ্ড রোদ। চারদিকে গরম। আর তাই এর গরমে শরীরকে শীতল করা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে তাপসম্পর্কিত অসুস্থতা যেমন ক্লান্তি এনে দেয়, ঠিক তেমনি হিটস্ট্রোকও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিপদের আশঙ্কা বেশি থাকে।
আমাদের এসব প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরে সঠিক তাপমাত্রা ভালো হাইড্রেশন, উন্নত ঘুম আর সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। কিন্তু এই গরমে শরীরের তাপমাত্রাও আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাকৃতিক পন্থাগুলো শুধু শরীরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে না, বরং অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে থাকে। যেমন ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করা, হজমে সহায়তা করা এবং চাপ কমানোসহ গ্রীষ্মের স্বাস্থ্য সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
গরমের দিনগুলোতে যদি মনে হয় আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, তবে হাতে প্রচুর বরফের টুকরো রাখুন। এ ছাড়া ঠান্ডা পানি কাপড়ে ভিজিয়ে এরপর শরীরে লাগান। ঘাড়, কব্জি ও বুকের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে প্রয়োগ করুন। এতে আপনি দ্রুত ঠান্ডা হতে পারবেন।
হাইড্রেশন শরীরের তাপ ও ঘাম ধরে রাখতে পানি বিশাল ভূমিকা রাখে। পানির অভাবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা আরও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
তাই যখন মনে হবে, আপনার শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হচ্ছে, তখন প্রচুর পানি পান করুন। এতে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
টাটকা হাওয়া তাপপ্রবাহের মধ্যে বসবাস করছেন শুধু এমন মানুষ নয়, টাটকা হাওয়া আমাদের সবারই প্রয়োজন। যদি মনে হয় আপনার চারপাশের বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে অবশ্যই খোলা হাওয়ায় যেতে হবে। টাটকা, ঠান্ডা বাতাস শুধু আপনার শরীরকে ঠান্ডা করবে না, আপনার মনকেও সতেজ করবে।
পানিসমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি গরমের দিনে করে খাবেন। অবশ্যই তরমুজ, শসা এবং স্ট্রবেরির মতো ফল প্রচুর পরিমাণে খাবেন। কারণ এগুলোতে পানি থাকে, যা শরীরকে শীতল করতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া ঠান্ডা পানিতে আপনার পা ভিজিয়ে রাখলে পায়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রক্তকে ঠান্ডা করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানিতে আপনার পা ২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
Comments