Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
আরটিএনএন: ইসরাইলের কাপুরুষোচিত গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। 

আজ বুধবার সকালে তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবন লক্ষ্য করে ইসরাইলের বিমান হামলায় একজন দেহরক্ষীসহ তিনি নিহত হন।

হামাস নেতার হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করছে গাজার যুদ্ধ-ক্লান্ত নিরীহ ফিলিস্তিনিরা।

সালেহ আল-শানার নামে উত্তর গাজার এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, ‘এই মানুষটা বেঁচে থাকলে দখলদার ইসরাইলিদের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারত। ওরা কেন মারল তাকে? ইসমাইল হানিয়াকে নয়, ওরা আসলে শান্তিকে হত্যা করেছে’।

নূর আবু সালাম নামে এক বাস্তুচ্যুত নারী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ইসরাইল এটাই প্রমাণ করল যে, তারা এ অঞ্চলে যুদ্ধের অবসান বা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না।

‘হানিয়াকে হত্যা করে তারা সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন এই ফিলিস্তিনি নারী। 

এদিকে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শত শত ফিলিস্তিনি। এ সময় তারা হামাসের সবুজ পতাকা বহন করছিলেন এবং ‘জনগণ কাসসাম ব্রিগেডকে চায়’ বলে স্লোগান দেন। কাসসাম ব্রিগেড মূলত হামাসের সামরিক শাখা হিসাবে কাজ করে থাকে।

রামাল্লায় হামাসের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থনে মিছিল বা বিক্ষোভ অনেকটা বিরল ঘটনা। রামাল্লা হলো অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক রাজধানী। যা ফিলিস্তিনের আরেক সংগঠন ফাতাহ-অধ্যুষিত এবং এর নেতাদের দ্বারা শাসিত অঞ্চল। 

উল্লেখ্য যে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের শাসন নিয়ে হামাস ও ফাতাহর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। সূত্র: ‍আল-জাজিরা