নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন: শেয়ারবাজারে দরপতন থামছে না। মঙ্গলবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে দিন শেষে মূল্যসূচক কমেছে ৬০ পয়েন্ট এবং বাজারমূলধন কমেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। আর এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবসে বাজারমূলধন কমেছে ৯ হাজার কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমনিতেই শেয়ারবাজারে আস্থা সংকট। এরপর কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত। ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এদিকে ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার থেকে বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হবে। অর্থাৎ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে বেলা আড়াই পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে লেনদেন ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী ১০ মিনিটে লেনদেন সেটেলমেন্ট (নিষ্পত্তি) হবে। এর আগে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে লেনদেনের সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে- ডিএসইতে মঙ্গলবার ৩৯৭টি কোম্পানির ১১ কোটি ৭১ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যার মোট মূল্য ৪৩২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৩৪০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসইর ব্রড সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইর বাজারমূলধন আগের দিনের চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা কমে ৬ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি: মঙ্গলবার ডিএসইতে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো- টেকনো ড্রাগ, ওরিয়ন ইনফিউশন, অগ্নি সিস্টেম, আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ, এনআরবি ব্যাংক, সলভো কেমিক্যাল, স্কয়ার ফার্মা, বীচহ্যাচারী, তৌফিকা ফুড এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।
ডিএসইতে মঙ্গলবার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে সেগুলো হলো- টেকনো ড্রাগ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশনস, রেকিট বেনকেইজার, সলভো কেমিক্যাল, আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ, পূবালী ব্যাংক, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, রবি আজিয়াটা এবং ব্যাংক এশিয়া।
অন্যদিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো- পদ্মা ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লিব্রা ইনফিউশন, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, তৌফিকা ফুড, আলহাজ-টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সিএনএ টেক্সটাইল।
Comments