Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক  
আরটিএনএন: দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরো বেশি ডিজিটালাইজ করতে সরকার প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের পঞ্চম ডিজিটাল ও টেকসই বাণিজ্য সুবিধা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত পেপারলেস বাণিজ্য প্রসারিত করতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবস্থা আরো বেশি ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীজনের পরামর্শ নিয়ে এ আইন সংসদে পাস হবে।’

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। ‘বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশন’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)।

 অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথাগত বাণিজ্য ব্যবস্থায় অনেক কাগজের নথি এবং নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। ডিজিটালাইজেশন ম্যানুয়াল হ্যান্ডলিং, কুরিয়ারে অতিরিক্ত সময় ও খরচ কমিয়ে দেবে। একই সঙ্গে পরিষেবায় বিলম্বের কারণে হারানো বা ভুল স্থানান্তরের ঘটনা কমে যাবে। ডিজিটাল রেকর্ডগুলোও দ্রুত ও বিপত্তি ছাড়া প্রেরণ, সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত হবে। এটি প্রশাসনিক বোঝা হ্রাস, প্রথাগত পদ্ধতিতে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সৃষ্ট অসংগতি রোধ করবে।’

তিনি জানান, বাংলাদেশ উদীয়মান ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমে (সিআইপিএস) যোগ দিতে প্রস্তুত। এর মাধ্যমে ডলারের বিকল্প মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজতর হবে। আন্তর্জাতিক পেপারলেস লেনদেনকে দক্ষ নিষ্পত্তির সুবিধার্থে ডিজিটাল অবকাঠামোকে সুরক্ষিত, নিরাপদ ও শক্তিশালী করতে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজ করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

কর্মশালায় আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নতুন আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমে যোগদান এবং বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সুযোগকে সম্প্রসারিত করছে। ক্রস বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম (সিআইপিএস) গ্রহণ এবং ডিজিটাল বাণিজ্য উদ্যোগ চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে।’

সমাপনী বক্তব্যে আইসিসিবির সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশই নিজস্ব উদ্যোগে বাণিজ্য ডিজিটালাইজেশন করেছেন। আইসিসি এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। কারণ আইসিসি বৈশ্বিক বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং বাণিজ্য নীতি ও আইন নিয়ে কাজ করে।’

কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনএসকাপের পরিচালক রুপা চন্দ ও আইটিএফসির রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম।

স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিসি. বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ রুমী আলী। অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা মার ও তিয়ানমি স্টিলফেন।