Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক 
আরটিএনএন: পরিশোধের পর বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমতে শুরু করেছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমেছে ১৩৪ কোটি ডলার। একই সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি ঋণের স্তিতিও কমেছে ১২৯ কোটি ডলার। তবে গত বছরের জুনের তুলনায় বেড়েছে ১১৯ কোটি ডলার ও সেপ্টেম্বরের তুলনায় মোট ঋণের স্থিতি বেড়েছে ২৭৫ কোটি ডলার। বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমায় ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। গত জুনে ঋণের স্থিতি ছিল এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৪০০ কোটি ডলার পরিশোধের পর ঋণের স্থিতি এক হাজার কোটি ডলারে নেমে এসেছিল। ওই সময়ে নতুন ঋণ নেওয়া হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। যে কারণে ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারে। একই সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। মোট ৬০০ কোটি ডলারের ঋণ শোধ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের জুনে ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলার। গত মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ঋণের স্থিতি ১১৯ কোটি ডলার বাড়লেও ডিসেম্বরের তুলনায় ১৩৪ কোটি ডলার। কমেছে। ডিসেম্বরে ঋণের স্থিতি ছিল ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার।

এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে রপ্তানি খাতের ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় আমদানি করা পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল ও সার আমদানির বিপরীতে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়েছে। এতেও ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের ফলে এ খাতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। তবে এখন আগের ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে।