Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
আরটিএনএন: ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার জেরে পশ্চিমাদের একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল রাশিয়া। একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে সাময়িক সংকটের মুখে পড়ে দেশটির তেল ও গ্যাস শিল্প। তবে রপ্তানির জন্য ইউরোপের মুখের দিকে তাকিয়ে না থেকে তখন বিশ্বের অন্যান্য দেশে সুলভ মূল্যে তেল ও গ্যাস রপ্তানির দিকে ঝোঁকে দেশটি। 

ফলে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় থেমে নেই রাশিয়া। পাশাপাশি এই শিল্প থেকে আশাতীত মুনাফা অর্জন করতে শুরু করে দেশটি। এমনকি, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই শিল্প থেকে গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনের রেকর্ডও গড়েছে রাশিয়া। 

চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গত তিন মাসে তেল ও গ্যাস শিল্প থেকে গড়ে মাসিক ১.২ ট্রিলিয়ন রুবল রাজস্ব আয় করেছে রাশিয়া। এই অর্থ ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের গড় আয়ের চেয়ে অনেক বেশি। 

বর্তমানে রাশিয়ার তেলের শীর্ষ তিনটি রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ভারত ও তুরস্ক। আর মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখন তেল আমদানির দিকে ঝুঁকেছে যুক্তরাজ্য। গালফ অঞ্চল থেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি তেল এবং তেলপণ্য আমদানি করছে দেশটি। 

উল্লেখ্য, ইউক্রেন আক্রমণের আগে রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করত ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর পরই আমদানিকারকের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করলে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল বা পরিশোধিত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। এমনকি রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমাও নির্ধারণ করে দেয় জি-৭ জোটের দেশগুলো।

যার লক্ষ্য ছিল সব পশ্চিমা শিপিং সংস্থা ও বিমা কোম্পানিগুলোকে প্রতি ব্যারেল তেলের জন্য ৬০ ডলারের বেশি মূল্যে রাশিয়াকে তেল রপ্তানিতে সহায়তা করা থেকে বিরত রাখা। তবে পশ্চিমাদের এই প্রচেষ্টাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে অব্যাহত রেখেছে মূল্যসীমা আরোপের আগে দেশটির রপ্তানি করা তেলের পরিমাণ।