আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপের আগ্রহ দেখিয়েছেন। আলোচনার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নির্ধারণের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কয়েকজন সাংবাদিক কারাগারের ভেতর স্থাপিত আদালতে ইমরান খানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক কথা বলেন। ওই সাংবাদিকদের কাছেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংলাপের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইমরান সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, সেনাবাহিনীকে তিনি কোনোদিন দোষারোপ করেননি। শুধু তাদের সমালোচনা করেছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীকে ঘরের ‘দুষ্টু ছেলের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যেভাবে দুষ্টু ছেলের সমালোচনা করা হয়; তিনি একই রকমভাবে সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছেন। আর সমালোচনার বিষয়টি গণতন্ত্রের একটি প্রয়োজনীয় বিষয়।
তবে তিনি সঙ্গে জানান, কেউ বলতে পারবে না সেনাবাহিনী ভুলের উর্ধ্বে নয়। তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউল হক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। এছাড়া ইয়াহিয়া খানের কারণে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হয়েছে। ইমরানের দাবি, সেনাবাহিনীর দ্বারা যখন কোনো অবিচার হবে; তখন চুপ করে থাকা যাবে না।
গত বছরের ৯ মে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে তার সমর্থকরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালান। ওই হামলার জন্য ইমরানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সেনাবাহিনী। ৯ মে-র সংঘর্ষের ঘটনায় ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলা হলেও তিনি কখনো ক্ষমা চাননি। এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপও করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তবে এখন তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।