নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন: দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি ব্যাংক ও পুঁজিবাজারও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে। আগামীকাল বুধবার থেকে ব্যাংকগুলোর লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
পাঁচ দিন সীমিত সময়ে লেনদেনের পর দেশের পুঁজিবাজারও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে। বুধবার থেকে আগের মতো সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে গত ২১ জুলাই থেকে তিনদিন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এতে সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। কারফিউ জারির পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ব্যাহত হয় ডিজিটাল ও মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা কার্যক্রমও।
পরে ২৪ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হয়। ওই দফায় দুই দিন বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। আর পুঁজিবাজারে লেনদেন চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হলে চলতি সপ্তাহের রবি থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত লেনদেন হয় ব্যাংকে। আর পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এদিকে আজ (৩০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার থেকে সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম।
সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। যে কারণে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ২ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে কারফিউ চলে। তৃতীয় দিন ৩ ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। চতুর্থ দিন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউতে চার ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ আরও শিথিল করা হয়।