আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে এ হামলা চালানো হয়। হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরাইল।
লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ বৈরুতের হারেত রেইত এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
ইসরাইলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নসরুল্লাহর সামরিক উপদেষ্টা মুহসিন শোকরকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনি ফুয়াদ শোকর নামেও পরিচিত। হিজবুল্লাহর এই কমান্ডার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অপারেশন সেন্টারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বৈরুতে হিজবুল্লাহর শুরা কাউন্সিলের পাশে চালানো এ হামলায় মুহসিন নিহত হয়েছেন বলে ইসরাইলের দুটি সূত্র দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম খানকে জানিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহ বলেছে, এ হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তাদের শীর্ষস্থানীয় এই কমান্ডার।
গত শনিবার ইসরাইলে দখলে থাকা গোলান মালভূমির দ্রুজ অধ্যুষিত মাজদাল শাম গ্রামে খেলার মাঠে রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হন যাদের বেশির ভাগই কম বয়সি। এ হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে ইসরাইল। তবে হামলার বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে হিজবুল্লাহ।
এ হামলার পর ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে ইসরাইল যাতে সীমিত আকারে লেবাননে হামলা চালায়, সে জন্য জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
বৈরুতে হামলার পর ইসরাইল নিজেদের জরুরি পরিষেবা বিভাগকে নতুন কোনো নির্দেশনা দেয়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের আরও হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেই ইসরাইলের। দেশটির ‘চ্যানেল টুয়েলভ টিভি’ নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না ইসরাইল।
এ ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহ কী জবাব দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নেয়। গোলান মালভূমিতে চালানো ৃহামলার জবাব বৈরুতে হামলার মাধ্যমে ইতি টানার কথা ভাবছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
এদিকে, বৈরুতে হামলাকে ‘ইসরাইলের সুস্পষ্ট আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। এ হামলাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।