আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির জন্য নতুন করে আলোচনা শুরুর জন্য আলোচকদের নতুন নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা। বুধবার রাতে উচ্চ পর্যায়ের ফোরামটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ইসরাইলের ওয়ালা নিউজ সাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে অবশ্য, এসব নির্দেশিকার বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস কেবল জানিয়েছে যে যুদ্ধ মন্ত্রিসভা 'পণবন্দীদের ফেরত আনার জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে' আলোচক দলকে নির্দেশ দিয়েছে।'
পণবন্দীদের পরিবারগুলো পাঁচ নারী সৈন্যের ৭ অক্টোবর অপহরণের ভিডিও প্রকাশ করার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিলো। হামাসের সদস্যরা নাহাল ওজ থেকে এসব নারী সৈন্যকে বন্দী করে।
কয়েকজনের মা-বাবা বলেন, তারা এই ভিডিও এ কারণে প্রকাশ করেছেন যাতে ইসরাইলের মধ্যে, বিশেষ করে নেতৃত্বের মধ্যে, জাগরণের সৃষ্টি হয়। তারা যাতে বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আরো জরুরিভিত্তিতে কাজ করে।
হামাস রাজি হলেও ইসরাইল নয়
উল্লেখ্য,চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও তা গ্রহণ করতে রাজি হয়নি ইসরাইল। তারা বলছে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবাচ 'ইসরায়েলের মুখ্য দাবি থেকে অনেক দূরে।'
ইসরাইল কেবল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকারই করেনি, সেইসাথে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানায়, যুদ্ধ মন্ত্রিসভা 'হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের' লক্ষ্যে রাফায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান কার্যকর করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। তারা আরো জানায়, ইসরাইল পণবন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধের অন্যান্য লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য হামাসের ওপর চাপ দিতে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবটি 'ইসরাইলের মুখ্য দাবিগুলো থেকে অনেক দূরে।'
তেল আবিবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে পণবন্দী অনেক পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা ড্রাম বাজিয়ে, বুলহর্ন ফুঁকে এবং আলো জ্বালিয়ে চুক্তিটি গ্রহণ করে তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তাদের সৈন্যরা পূর্ব রাফায় 'টার্গেট করে' হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
হামাসের সম্মতি
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করে হামাস জানায়, ইসরাইলের সাথে দীর্ঘ সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ স্থগিত করতে তারা মিসরীয়-কাতারি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
এই গ্রুপ এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মিসরের গোয়েন্দামন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে এই খবর জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ কয়েক মাস ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় মধ্যস্থতা করে আসছে।
সূত্র : আল জাজিরা