নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আরটিএনএন: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজের ভোটটিও পান নি। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওই প্রার্থী নিজেই নিজের ভোট নিজেকে দেন বলে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া ভোটগ্রহণের পর প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। তারা হলেন- হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী শাহ জাহাঙ্গীর কবীর, আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফজলুল হক ও কই মাছ প্রতীকের প্রার্থী রফিকুজ্জামান খোকন।
এদের মধ্যে শাহ জাহাঙ্গীর কবীর ও ফজলুল হক তাদের পক্ষে কোনো প্রচারণা, গণসংযোগ ও মাইকিং করেননি। এমনকি ভোট কেন্দ্রগুলোতে তাদের কোনো পোস্টারও ছিল না। শাহ জাহাঙ্গীর কবীর তার নিজ কেন্দ্র আমতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শূন্য ভোট পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই লাখ ২৫ হাজার ১২৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭৬ হাজার ২৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার মধ্যে বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪১৬ ভোট।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ ৩২ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৭৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান ও কলস প্রতীকের প্রার্থী মোছা. রুনা আক্তার জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
একাধিক কেন্দ্রে শূন্য ভোট পাওয়া নিয়ে কথা হলে প্রার্থী শাহ জাহাঙ্গীর কবীর মোবাইল ফোনে বলেন, তার ভোট তিনি অন্য আরেক প্রতীকে দিয়েছেন। ব্যালটে তার প্রতীক থাকলেও তিনি তার পক্ষে কোনো প্রচারণা ও গণসংযোগ করেননি। কারও কাছে ভোটও চাননি।